মধ্যপ্রাচ্যের আধিপত্যকামী দেশ ইসরাইল আর মাত্র তিন বছর পরই ধ্বংস হয়ে যাবে! যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ফরেন পলিসি জার্নাল ও নিউইয়র্ক পোস্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল এখন অনেক দুর্বল ও অনিরাপদ। ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন ইসরাইলি নাগরিকরা উদ্বিগ্ন ও সন্দিহান।
দেশটির ভেতর থেকেই ধসে পড়া এবং ধ্বংস ও বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাদের পৃষ্ঠপোষকরা। ফলে ইসরাইলের যুদ্ধে জেতার দিন পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এখন যদি ইসরাইল যুদ্ধ শুরু করে তাহলে সেই যুদ্ধ তার ইচ্ছায় শেষ হবে না। আর যুদ্ধ যদি প্রলম্বিত ও দীর্ঘায়িত হয় তাহলে ইসরাইল ভয়াবহ ও অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতির শিকার হবে এবং তা ইসরাইলের অস্তিত্বকেই করবে হুমকিগ্রস্ত।
Holiday পত্রিকায় ২০১৩ সালের ১২ মার্চ মার্কিন লেখক Kevin Barrett একটি প্রবন্ধ লেখেন।
‘Kissinger, US intelligence endorse a world without Israel’ শিরোনামের প্রবন্ধে বলা হয়ে, কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদনে প্রকাশ, সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হেনরি কিসিঞ্জার এবং আরও ১৬টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা একমত প্রকাশ করেছেন যে, অতি নিকট ভবিষ্যতে ইসরাইল আর টিকে থাকবে না।
‘নিউইয়র্ক পোস্ট’ কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, ১০ বছরের মধ্যে ইসরাইল আর থাকবে না। অর্থাৎ কিসিঞ্জারের মতে ২০২২ সালে ইসরাইল আর বিদ্যমান থাকবে না।
কিসিঞ্জারের মতো মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যদিও নির্দিষ্ট করে সময়সীমার কথা উল্লেখ করেনি। কিন্তু তারা (১৬টি গোয়েন্দা সংস্থা) ৮২ পৃষ্ঠার একটি বিশ্লেষণ প্রকাশ করে। যার শিরোনাম ছিল, একটি ইসরাইলোত্তর মধ্যপ্রাচ্যের জন্য প্রস্তুতি ( Preparing for a Post-Israel Middle East )
ইসরাইল আরব বসন্ত, ইসলামি জাগরণ এবং ইরানের উত্থানের সমম্বয়ে গঠিত ফিলিস্তিনপন্থী ভবিষ্যৎ শক্তিকে মোকাবেলা ও প্রতিহত করতে পারবে না বলে ১৬টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা একমত পোষণ করে।
ইরানের নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনী ২০১৬ সালে বলেছিলেন, আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। ইসরাইল যদি (ইরানকে আক্রমণ করার মতো ) কোনো ভুল বা অন্যায় করে বসে তাহলে আমরা তেল আবিব এবং হাইফা নগরীকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেব।
এদিকে ২০০৭ সালের ১২ ডিসেম্বরে ইসরাইলি সংবাদপত্র ইয়েদিঔত আহারোনৌত পত্রিকায় দেশটির অধ্যাপক গাবি শেফার একটি প্রবন্ধ লেখেন। যার শিরোনাম ছিল ‘We won’t win in Gaza’ তথা ‘আমরা গাজায় কখনো জিততে পারব না’