বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেছেন, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আবার সচল করতে খনি কর্তৃপক্ষ শুক্রবার থেকে ১০০ টন করে কয়লা সরবরাহ শুরু করেছে।
আজ শনিবার সকালে বিদ্যুৎ ভবনে ‘বিদ্যুৎ খাতের প্রশিক্ষণ নীতিমালা চূড়ান্তকরণ এবং নেট মিটারিং নির্দেশিকা ২০১৮’ শীর্ষক এক কর্মশালার পর সাংবাদিকদের একথা বলেন নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সিরাজগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। এটি ২০২১ সালে ২৪ হাজার ও ২০৪১ সালে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস জানিয়েছেন, সরকার প্রয়োজনবোধে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সরকার কয়লা আমদানি করে রাখার পরিকল্পনা করছে। উত্তরাঞ্চলে পিক আওয়ারে এক থেকে দেড় ঘণ্টা বিভ্রাট হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি সামলে এখন স্বাভাবিক হয়ে আসছে।
আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরি বলেন, সরকার দেশের উত্তারাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লার ওপর ভিত্তি করে চলছিল ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। খনির কয়লা চুরি হওয়ায় সেখান থেকে কয়লা সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গত রোববার রাতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সবকটি ইউনিটে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঙ্কট চলছে।
২৩০ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনায় খনি কর্তৃপক্ষ বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে অভিযোগ দায়ের করেছে।